এ ঘটনার দায় থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্য এবং প্রতিপক্ষকে পাল্টা মামলায় ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে গ্রেফতার আসামি মিন্টু বসুনিয়া ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম পরস্পর যোগসাজোসে অত্যন্ত সুকৌশলে আপন ভাতিজি অর্থাৎ চাঁদ মিয়ার ৭ বছরের শিশু কন্যা চম্পাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বাঁশঝাড়ে মরদেহ ফেলে রাখেন। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে আসামি মিন্টু মিয়াই উক্ত বাঁশঝাড় থেকে চম্পার মরদেহ শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় মামলা হয় প্রতিপক্ষ বজরুলের পরিবারের বিরুদ্ধে। ধৃত আসামিসহ বাদীর লোকজন প্রতিপক্ষ বজরুলের ভাতিজা হাফিজুলকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উলিপুর থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. জাকির উল ইসলাম চৌধুরী মামলাটি তদন্তকালে ঘটনা ভিন্নরূপে মোড় নেয়। তদন্তের এক পর্যায়ে বাদীর আপন ভাই গ্রেফতার আসামি মিন্টু বসুনিয়াকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আসামি মিন্টু বসুনিয়ার বিপক্ষে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পান তদন্ত কর্মকর্তা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামি মিন্টু বসুনিয়াকে আদালতে সোপর্দ করেন।
পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা বজরুলের পরিবারকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে মিন্টু বসুনিয়া ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আসামি মিন্টু বসুনিয়া উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগমসহ দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর আত্মগোপনে ছিলেন।
পরবর্তীতে উলিপুর থানার ওসিসহ একটি চৌকস টিম বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে দীর্ঘদিনের চেষ্টায় গাজীপুর র্যাব-৩ এর সহযোগিতায় আসামিদেরকে গাজীপুর জেলার বড়বাড়ি জয়বাংলা তিন রাস্তার মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রুহুল আমীন বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর ও হৃদয়বিদারক ঘটনা। আসামি প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছেন। ২০১৩ সালের শিশু হত্যা মামলার মূলহোতা দম্পতিকে ১১ বছর পলাতক থাকার পর গ্রেফতার করলো উলিপুর থানা পুলিশ যা সম্ভব হয়েছে সুষ্ঠু পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে।
0 coment rios:
হামার কুড়িগ্রাম নিউজ এ আপনাকে স্বাগতম ।
কোন কিছু বলার বা জানার থাকলে, পেজ এ মেসেজ করুন ধন্যবাদ ।
অথবা +8801301771784